গজারিয়া( মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নে সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাবা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।গুরুতর অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলো, উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের হোসেন্দী গ্রামের মৃত ইমান আলী বেপারীর ছেলে আবদুল লতিফ (৬৫) ও তার মেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মেহজাবিন মিতু ( ২৯)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলায় আহত মেহজাবিন মিতু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের সাথে তার চাচা প্রতিবেশী মজিবুর মিয়ার বিরোধ চলছিল। এদিকের রোববার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তার বাবা রাজমিস্ত্রি দিয়ে তাদের বাড়ীর সীমানা ঘেঁষে দেয়াল করতে গেলে বাধা দেয় মজিবুর ও তারা ছেলে কামাল, কাউসার সহ ৭/৮জন। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মজিবুর ও তার লোকজন প্রথমে তার বাবাকে পিটিয়ে আহত পরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তাদের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। তিনি তার বাবাকে বাচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে কুপিয়ে জখম করে তারা। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শুকরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পরবর্তীতে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকা পাঠিয়ে দেয় চিকিৎসক।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম শুভ জানান, আহতদের মধ্যে আবদুল লতিফের মাথাসহ গায়ের বিভিন্ন অংশে এবং মেহজাবিন মিতু মিতুর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠিয়ে দিয়েছি।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।