গজারিয়ায় পানির তোড়ে ভেসে গেল সেতুর বিকল্প সড়ক

গজারিয়ায় পানির তোড়ে ভেসে গেল সেতুর বিকল্প সড়ক

গাজী মাহমুদ পারভেজ:– মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার জামালদি হোসেন্দী সংযোগ সড়কের জামালদি খালের উপর গার্ডার ব্রিজ নির্মাণে কাজ।

কাজ শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যানচলাচলের জন্য নির্মাণ করে একটি বিকল্প সড়ক। সামান্য বৃষ্টিতে ওই বিকল্প সড়ক ভেসে গেছে পানির স্রোতে। এপার ওপার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাঁটু পানি ভেঙ্গে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে মানুষ। এতে যে কোন মুহূর্তে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অনেকেই আহত হয়েছেন, হচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জামালদী খালের মাঝখানে পানি সরবরাহের জন্য কোনো ব্যবস্থা না করে বিকল্প রাস্তা করায় এ বিপত্তি ঘটেছে। বিকল্প রাস্তা ভেসে যাওয়ায় এই সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

বিকল্প সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং চলাচলের অযোগ্য হয়ে ভারি যানবাহন উল্টে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভাঙা সড়কের উভয় পাশে মালামাল ভর্তি ভারি যানবাহন আটকা রয়েছে। চালকরা জানায় সেতুর বিকল্প রাস্তা ভেসে যাওয়ায় তাদের পক্ষে ঘুরে যাওয়াটাও দ্বিগুন খরচ ও বিড়ম্বনার কারন বলে জানান। অনেক চালকের অভিযোগ ব্রিজটি বন্ধ থাকলেও প্রবেশ পথে কোন নির্দেশনা নেই। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী, কাঁঠাল ও কাঁচা পণ্যবাহী যান, গার্মেন্টকর্মীসহ হাজার হাজার মানুষ দূর্ভোগে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এবং নিজ প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না।

স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল মিয়া বলেন, বিকল্প কোন রাস্তা নেই জামালদি স্ট্যান্ডে যাওয়ার। পাশের জমি দিয়ে হাটু সমান কাদাপানি পার হয়ে অনেক কষ্টে কিছু লোক যেতে পারলেও মহাবিপদ হবে শিশু বৃদ্ধ বা রোগীদের জন্য। তাই বাধ্য হয়ে জামালদী বাস স্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য নৌপথ ব্যবহার করতে হয়েছে।

অপর স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান পারভেজ বলেন, এমন দূর্ভোগ দেখার মত কেউ নেই। যে যার যার মত ধান্ধা নিয়ে ব্যস্ত। একটা ব্রীজের কাজ করতে কত গড়িমসি দেখলাম।

স্থানীয় এক কলেজ ছাত্রীর দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বিকল্প সড়কের মাঝখানে দুই পাশে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা না করায় পানির স্রোতে সড়কটি ভেসে যায় এ কারণে ভোগান্তি হচ্ছে আমাদের। আমার মত কষ্ট করে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের স্কুল কলেজে যেতে হচ্ছে।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ মুন্সীগঞ্জের আলো