শ্রীনগরে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক।

শ্রীনগরে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক।

শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কৃষকের উৎপাদিত সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাট।
পাটের মণ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকায়। পাটের কাঙ্ক্ষিত বাজার মূল্য না পাওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় দিন গুনছেন শ্রীনগরের পাটচাষিরা। এতে পাট চাষ আগ্রহ হারাচ্ছে স্হানীয় কৃষকরা। স্হানীয় কৃষি অফিস সূত্র জানা যায় , এ বছর প্রায় ১৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । গত বছরর তুলনায় এবার ২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ কম হয়েছে।

স্হানীয়রা জানান, পানির অভাবে জমিতে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষকরা ভোগান্তির শিকার হন। এত অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে অনেক কৃষক ৬-৭ কিলামিটার দূরর চকের পানিতে পাট জাগ দেন। এই পরিস্হিতিতে পাটের কাঙ্গিত বাজার মূল্য না পাওয়ার শঙ্কা করছন ভুক্তভাগী প্রান্তীক কৃষকরা। তারা বলছেন পাট চাষে লাকসানের মুখে পরেছেন। সরজমিন ঘুর দেখা যায়, উপজলার পূর্ব অঞ্চলের আটপাড়া,বীরতারা, পাটাভাগ, কুকুটিয়া, কর্কটপাড়া, বাড়গাঁওসহ বিভিন সড়কর পাশ ও সেতুর রেলিংয়ে পাট শুকানাে হছে। ভুক্তভাগীরা জানান, পাটর উৎপাদনের খরচের চেয়ে বাজার মূল্য কম হওয়ায় পাটের প্রতি তাদের তেমন কােন আগ্রহ নেই।
পাটচাষী মো. শুভ বলেন, প্রায় ৩ একর জমিতে পাট চাষ করি। জমির পাশে হরপাড়া খালে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে ৭ কিলােমিটার দূর কর্কটপাড়ার চকে নিয়ে পাট জাগ দিত হয়েছে। এতাে খাটা খাটানী ও অতিরিক্ত খরচ করে পাট চাষে কােন লাভের লক্ষণ দখছি না। বীরতারার আমির হােসেন বলন, এলাকায় পাটের কােন পাইকার আসছে না। অর্থের জােগান দিতে কিছুদিন আগেপার্শ্ববর্তী সিরাজদিখান উপজেলার তালতলা বাজারে পাট বিক্রি করি। ভালাে মানের প্রতি মণ পাট বিক্রি করা হয় ১৯৫০ টাকা দর। এই দামে ব্যয় খরচ উঠে আসবে না।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ মুন্সীগঞ্জের আলো